গোটা বিশ্বের সামনে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হলো গাজার সাংবাদিককে। আরও একবার ইসরায়ালের নৃশংসতার শিকার সাংবাদিক কর্মীরা। রবিবার খান ইউনিসে সাংবাদিকদের তাবু লক্ষ্য করে চালানো হয় বর্বর হামলা। আলোচিত সাংবাদিক হিমলি-আল-ফাকওয়ার সহ মারা যান দু’জন। দগ্ধ ও আহত আরও ৭ সাংবাদিক। গাজার দক্ষিনে খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের বাহিরে ছিল তাবুটি। শরনার্থিতে কাজ করা সাংবাদিকরা এখানে অবস্থা নিয়েই চালিয়ে যাচ্ছেন পেশাগত দায়িত্ব, জানাছিল ইসরায়ালের এরপরও হামলা উদ্দ্যেশপুর্নোদ্ধিত ছাড়া কি বলা যায়।
ততক্ষন উপত্তাক্কাজুড়ে ইসরায়ালের হামলায় দিনের প্রাণহানী ৩০জন ছাড়িয়ে গেছে। ফিলিস্তিনিদের মৃত্যু আর ছোটাছুটির খবর সংগ্রহে ব্যস্ত অনেক সাংবাদিক। কয়েকজন আবার তাবুতে ফিরে সাড়াদিনের তথ্য গোছানোর কাজে ব্যস্ত এমন সময় বোমা হামলা, বিষ্ফোরণ, অগ্নিকান্ড, ভিতরে অগুনে পুড়ছে কেউ কেউ, বাচাঁতে ছুঁটছে সহকর্মীরা, নাড়কীয় এক পরিস্থি যা এখন গাজার প্রতিদিনের দৃশ্য।
আগুনে পুড়ে নির্মম মৃত্যু হয় আলোচিত এক সাংবাদিক হিমলি-আল-ফাকওয়ার কাছাকাছি থাকায় প্রাণ যায় ইউসুফ-আল-খাজিন্দার আরেক তরুনের। আগুনের পুড়তে থাকা সাংবাদিক আহমেদ মনসুরকে কোন ক্রমে উদ্ধার করা গেলও ততক্ষনে জ্বলসে গেছে পুরো শরীর, জীবন মৃত্যুর সন্ধীক্ষনে চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করলেও ঔষুধ সরঞ্জামের তীব্র সংকট কঠিন করে তুলছে সেই লড়াই। সংকটাপন্ন আরেক সাংবাদিক ইহাব-আল-বারদিনের জীবন, দগ্ধ আর আহতদের তালিকায় আরো আছেন আল জাজিরা’র ফটো সাংবাদিক মাহমুদ আওয়াজ সহ আলোচিত আরো কয়েকজন। এক বিবৃত্তে এই হামলাকে ঘৃণ্য অপরাধ ও উদ্দ্যেশপুর্নোদ্ধিত আক্ষ্যা দিয়েছেন প্যালেষ্টেনিয়াস র্জানালিষ্ট ফোরাম দেড় বছরের আগ্রাসনের গাজায় দুই শতাধিক সাংবাদিক কর্মীকে হত্যা করেছে ইসরায়াল।